♻️ বেকারত্ব নিরশনে ফ্রিল্যান্সিং:
বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার বড় একটা অংশ শিক্ষিত বেকার। শিক্ষাগত যোগ্যতা বিবেচনা করলে দেখা যায় কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর মধ্যে ৫ থেকে ৬ লাখ আছেন। তারা স্নাতক বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রী নিয়েও পছন্দ মত কাজ করার সুযোগ পাচ্ছে না। বিপুলসংখ্যক এই কর্মক্ষম জনশক্তিকে সম্ভাবনাময় শ্রমশক্তি বলা হয়। কিন্তু আমাদের দেশে উপযুক্ত কাজের অভাবে অপচয় হচ্ছে সম্ভাবনাময় জনশক্তি। বর্তমান যুগ তথ্যপ্রযুক্তির যুগ। এই সময় একজন শিক্ষিত বেকার সহজে স্বাবলম্বী হতে পারেন ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে।
ফ্রিল্যান্সিং হলো মুক্ত পেশা। ঘরে বসেই পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মানুষের বা প্রতিষ্ঠানের কাজ করে অর্থ উপার্জন করা যায়। কাজ করার জন্য কোন অফিসের প্রয়োজন হয় না। প্রয়োজন শুধু ইন্টারনেট সংযোগ। কাজের কোন নির্ধারিত সময় নেই। নিজের সময় ও সুযোগ মতো কাজ করা যায়। তাই বর্তমানে সারা বিশ্বের তরুণ-তরুণীদের কাছে ফ্রিল্যান্সিং বহুলভাবে জনপ্রিয়। তাই প্রতিনিয়ত এর ক্ষেত্রও প্রসারিত হচ্ছে। বিশ্বের বড় বড় কোম্পানি এখন তাদের কাজগুলো অফিসের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে ছড়িয়ে দিচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে। এতে কোম্পানিগুলো কাজের জন্য দক্ষ কর্মী পাচ্ছে এবং কর্মীরা অন্য দেশ থেকে রেমিটেন্স আয়ের মাধ্যমে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হতে পারছে। বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিংয়ের জন্য জনপ্রিয় ওয়েবসাইট হচ্ছে Upwork, Fiverr, Freelancer.com, peopleperhour, 99designs, guru.com, ইত্যাদি। এসব ওয়েবসাইটে ডিজিটাল মার্কেটিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, এসইও, কন্টেন্ট রাইটিং, ডাটা এন্ট্রি, ওয়েব ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ইত্যাদি কাজ করে যে কোন চাকরির থেকে বেশি অর্থ উপার্জন করার সুযোগ রয়েছে।
'টাইম ইজ মানি' ফ্রিল্যান্সিং এর অন্যতম বৈশিষ্ট্য। যারা পেশাদার ফ্রিল্যান্সার, তাদের সময়ের প্রতি গুরুত্ব বেশি। ফ্রিল্যান্সিং কর্মক্ষেত্রে বেশিরভাগ কাজই করা হয় বহির্বিশ্বের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির সঙ্গে, যার কারণে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়। ভালো ভালো কাজের মাধ্যমে অনলাইন জগতে সুনাম অর্জন করা যায়। সর্বোপরি ফ্রিল্যান্সিং টাকা আয় করার জন্য একটি উৎকৃষ্ট পন্থা।