আত্মকর্মসংস্থান কি? এবং এর গুরুত্ব কি?
💪 আত্মকর্মসংস্থান হল ব্যক্তি নিজের দক্ষতা ও গুণাবলী দিয়ে যে কাজ করে থাকে সেটাই আত্মকর্মসংস্থান। একজন ব্যক্তির জন্য আত্মকর্মসংস্থান খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কেননা, একজন ব্যক্তির স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য কর্মসংস্থান ধাপটি প্রয়োজন।
✅মানুষ নিজের এবং অন্যের কর্মসংস্থান তৈরি করতে পারলেই বেকারত্ব দূর নিরসন সম্ভব। বেকারত্ব নিরসনে আত্মকর্মসংস্থান এর ভূমিকা আলোচনা করতে গেলে আত্মকর্মসংস্থানের ধারণা, আত্মকর্মসংস্থানের উপযুক্ত ও লাভজনক ক্ষেত্রগুলো, আত্মকর্মসংস্থানে উদ্বুদ্ধকরণের উপায় এবং আত্মকর্মসংস্থানের গুরুত্ব সম্পর্কে জানতে হবে।
আত্মকর্মসংস্থানের মাধ্যমে ব্যক্তির নিজের যেমন কর্মসংস্থান হয়, তেমনি অনেক নতুন আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়। সীমিত চাকরির বাজারে সকলের আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ হয় না। যারা স্বাধীনভাবে কিছু করতে চায় তারা নিজস্ব মেধা ও দক্ষতা কাজে লাগিয়ে এগিয়ে আসেন এবং স্বাবলম্বী হন। তাই আত্ম-কর্মসংস্থানের গুরুত্ব দেশের অর্থনীতিতে অপরিসীম।
আত্মকর্মসংস্থান এর গুরুত্ব:
👉আত্মকর্মসংস্থানের প্রধান উৎস সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে শ্রমজীবী ও চাকরিজীবী লোকের সংখ্যা বেড়েছে। কর্মসংস্থানের চাহিদা যে হারে বৃদ্ধি পায় সে হারে কর্মসংস্থান বাড়ে না।
👉অন্যান্য পেশায় আয়ের সম্ভাবনা সীমিত। কিন্তু আত্মকর্মসংস্থানের থেকে প্রথমে আয় কম হলেও ধীরে ধীরে আয় বাড়তে থাকে।
👉আত্মকর্মসংস্থানে নিয়োজিত ব্যক্তিদের সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধি পায়।
👉আত্মকর্মসংস্থানের মানসিকতা যুবসমাজকে দেশপ্রেম ও স্বেচ্ছামূলক কাজে উৎসাহিত করে।
👉আত্মকর্মসংস্থান এর জন্য বয়স কোনো সমস্যা নয় এর মাধ্যমে যে কোনো বয়সের মানুষ তার দক্ষতা অনুযায়ী অর্থ উপার্জন করতে পারে।
👉আত্মকর্মসংস্থান এর সাথে যুক্ত থাকলে তরুণরা কোন সমাজ বিরোধী কাজে লিপ্ত হয় না।
👉আত্মকর্মসংস্থান এর মূল এবং বড় মূলধন হলো নিজের দক্ষতা।
👉আত্মকর্মসংস্থান একটি স্বাধীন পেশা তাই এখানে নিজের বাড়িতে কাজ করা যায় আলাদা খরচ করতে হয় না।
📌অতএব, বলা যায় বর্তমান দেশে আত্মকর্মসংস্থানের গুরুত্ব অপরিহার্য।